কলেজ পিরিয়ড জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় যাইহোক, পড়াশুনা এবং জীবনের চাপ বাড়ার সাথে সাথে অনেক কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মানসিক বাধার সম্মুখীন হয়। এই মানসিক সমস্যাগুলি কেবল তাদের শেখার এবং সামাজিক ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না, তবে তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই মানসিক বাধাগুলি বোঝা এবং মোকাবেলা করা কলেজ ছাত্রদের সুস্থ বৃদ্ধি এবং সর্বাত্মক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধটি কলেজ ছাত্রদের মধ্যে বেশ কিছু সাধারণ মানসিক ব্যাধি এবং তাদের মোকাবেলার কৌশলগুলি অন্বেষণ করবে, যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং তাদের মনস্তাত্ত্বিক গুণমান উন্নত করতে সহায়তা করা।
হীন মানসিকতা
হীনমন্যতা কমপ্লেক্স কলেজ ছাত্রদের মধ্যে একটি সাধারণ মানসিক ব্যাধি, যা আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের উপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কম আত্মসম্মানসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা সাধারণত হতাশাবাদী, বিষন্ন, প্রত্যাহার করে, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে ভয় পায় এবং মনে করে যে তারা অন্যদের থেকে নিকৃষ্ট। এই মানসিক ব্যাধি সাধারণত নিম্নলিখিত কারণে হয়:
- খুব বেশি আত্মত্যাগ
- নেতিবাচক স্ব-পরামর্শ
- হতাশার প্রভাব
- মনস্তাত্ত্বিক বা শারীরিক ঘাটতি
উদাহরণ স্বরূপ, কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের ছোট আকার, দুর্বল চেহারা, নম্র পটভূমি, দুর্বল একাডেমিক পারফরম্যান্স ইত্যাদির কারণে হীনমন্যতার অনুভূতি রয়েছে। এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে, শিক্ষাবিদদের উচিত শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সমস্যা মোকাবেলা করতে, নিজেদের সঠিকভাবে বুঝতে এবং স্ব-মূল্যায়ন উন্নত করতে সাহায্য করা। হীনমন্যতার মানসিকতা মূলত সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় নিজেকে সঠিকভাবে বুঝতে এবং আচরণ করতে না পারা থেকে উদ্ভূত হয় তাই, আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক সামাজিক দক্ষতা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত করা উচিত। কমিউনিকেশন স্কিল শেখাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
একাকীত্ব মনোবিজ্ঞান
একাকীত্ব হল বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করার একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা, যার সাথে আবেগগতভাবে বা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। নিঃসঙ্গ শিক্ষার্থীরা সাধারণত বিষণ্ণ এবং অসংলগ্ন দেখায়, যা তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা, যোগাযোগ এবং জীবনকে প্রভাবিত করে। এই মানসিক ব্যাধির প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ব্যক্তিত্বের সমস্যা
- খুব অহংকারী এবং আত্মমর্যাদাশীল
- পরাজয়
এই মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য, ছাত্রদের দলে একীভূত হতে শিখতে হবে। মার্কস একবার বলেছিলেন: ‘শুধুমাত্র সমষ্টিগতভাবে ব্যক্তিরা সর্বাত্মক বিকাশের সুযোগ পেতে পারে।’ উপরন্তু, ছাত্রদের উচিত তাদের আত্মমর্যাদা, আত্মমর্যাদা এবং গর্বকে অতিক্রম করে সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা। অন্যদের সাথে গভীর মানসিক সংযোগ এবং মনস্তাত্ত্বিক অনুরণন স্থাপন করা একাকীত্ব থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে।
ঈর্ষা
ঈর্ষা হল অসন্তুষ্টি, আত্মসম্মান এবং বিরক্তির অনুভূতি যা অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করে এবং প্রতিভা, শিক্ষা, খ্যাতি ইত্যাদির ক্ষেত্রে নিজেকে অন্যদের থেকে নিকৃষ্ট মনে করে। এই মানসিক ব্যাধির বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অন্যদের শক্তি এবং অর্জন নিয়ে অসন্তুষ্ট
- আশা করি অন্যরা আপনার পিছনে পড়বে
- প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহসের অভাব এবং অবৈধ উপায় অবলম্বন করা
ঈর্ষা গুরুতরভাবে কলেজ ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাধা দেয়। এই ধরনের মনস্তত্ত্ব কাটিয়ে ওঠার জন্য, ছাত্রদের উচিত তাদের স্ব-চাষের উন্নতির মাধ্যমে শুরু করা, সক্রিয়ভাবে তাদের মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া এবং ঈর্ষা দূর করার জন্য বৈধ, আইনগত এবং যুক্তিসঙ্গত উপায় অবলম্বন করা।
প্রতিশোধের মানসিকতা
প্রতিশোধ হল এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ এবং বিরক্তি প্রকাশ করার মানসিকতা যারা আক্রমণাত্মক উপায়ে নিজেকে বিপর্যস্ত করেছে। এই ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাধি সাধারণত ঘটে যখন সংকীর্ণ মানসিকতার এবং খারাপ ব্যক্তিত্বের অধিকারী লোকেরা বিপর্যয়ের শিকার হয়। প্রতিশোধ মনোবিজ্ঞানের উত্থান শুধুমাত্র ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্কিত নয়, তবে হতাশা এবং পরিবেশের বৈশিষ্ট্যের সাথেও সম্পর্কিত। প্রতিশোধ প্রায়শই গোপনে করা হয় কারণ প্রতিশোধদাতা প্রায়শই একজন দুর্বল ব্যক্তি হিসাবে উপস্থিত হয় এবং প্রকাশ্যে লড়াই করার ক্ষমতা তার নেই।
এই মানসিকতা পরিবর্তন করার জন্য, ছাত্রদের তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ উন্নত করতে হবে, প্রতিশোধমূলক আচরণের ক্ষতিকারকতা সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে এবং সহনশীল হতে শিখতে হবে। কথায় আছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর পেট নৌকাকে ধরে রাখতে পারে।’
যোগাযোগে অসুবিধা
বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিলন কলেজ ছাত্রদের জন্য একটি সাধারণ সামাজিক কার্যকলাপ, তবে এটি প্রায়শই একটি মানসিক বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিছু ছাত্রের বিপরীত লিঙ্গের সদস্যদের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে অসুবিধা হয় প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- বন্ধুত্ব এবং ভালবাসার মধ্যে সম্পর্ক সঠিকভাবে পরিচালনা করতে অক্ষম
- ঐতিহ্যগত ধারণা দ্বারা প্রভাবিত, এটি বিশ্বাস করা হয় যে প্রেম ছাড়া পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে অন্য কোন সম্পর্ক নেই।
- নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্কুল, শিক্ষক ও অভিভাবকদের হস্তক্ষেপ
বিষমকামী মিথস্ক্রিয়ায় অসুবিধা থেকে পরিত্রাণ পেতে, ছাত্রদের প্রথমে ঐতিহ্যগত ধারণার শৃঙ্খল থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে, সক্রিয়ভাবে রঙিন গোষ্ঠী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং স্বাভাবিক ও সুরেলা আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, অপ্রয়োজনীয় ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আমাদের অবশ্যই যোগাযোগের যথাযথতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
উপরোক্ত কৌশলগুলির মাধ্যমে, কলেজের ছাত্ররা কার্যকরভাবে সাধারণ মানসিক ব্যাধিগুলির সাথে মোকাবিলা করতে পারে এবং মানসিক স্বাস্থ্য এবং সর্বাত্মক বিকাশকে উন্নীত করতে পারে।
উপসংহার
কলেজ ছাত্রদের মধ্যে সাধারণ মানসিক ব্যাধি মোকাবেলা করার জন্য ছাত্র, স্কুল এবং পরিবারের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সঠিক আত্ম-সচেতনতা, ইতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ, উপযুক্ত সামাজিক দক্ষতা এবং কার্যকর মনস্তাত্ত্বিক সমন্বয় পদ্ধতির মাধ্যমে, কলেজের শিক্ষার্থীরা মানসিক সমস্যা যেমন হীনমন্যতা, একাকীত্ব, ঈর্ষা, প্রতিশোধ ইত্যাদি কাটিয়ে উঠতে পারে, সুস্থ আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে এবং আত্মবিশ্বাস ও মানসিক উন্নতি করতে পারে। দৃঢ়তা কলেজ ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়া শুধুমাত্র তাদের পড়াশোনা এবং জীবনে সফল হতে সাহায্য করবে না, বরং তাদের ভবিষ্যত বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করবে। আসুন আমরা একটি ইতিবাচক এবং স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস পরিবেশ তৈরি করতে একসাথে কাজ করি এবং কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করি।
এই নিবন্ধের লিঙ্ক: https://m.psyctest.cn/article/6wd9mEdR/
যদি মূল নিবন্ধটি পুনর্মুদ্রিত হয় তবে অনুগ্রহ করে এই লিঙ্কের আকারে লেখক এবং উত্সটি নির্দেশ করুন।