স্ট্রেস শারীরিক এবং মানসিক উত্তেজনা এবং অস্বস্তির মানসিক প্রতিক্রিয়াকে বোঝায় যা লোকেরা চ্যালেঞ্জ বা চাহিদার মুখোমুখি হওয়ার সময় অনুভব করে। কাজ, স্কুল, সম্পর্ক, স্বাস্থ্য, আর্থিক ইত্যাদির মতো বিভিন্ন কারণ থেকে মানসিক চাপ আসতে পারে। মাঝারি মানসিক চাপ মানুষের উদ্দীপনা এবং সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করতে পারে, তবে অতিরিক্ত চাপ শরীর এবং মনোবিজ্ঞানের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
মনোবিজ্ঞানে, লোকেরা সাধারণত স্ট্রেসকে দুই প্রকারে ভাগ করে: ইতিবাচক চাপ এবং নেতিবাচক চাপ। ইতিবাচক চাপ, যা চ্যালেঞ্জিং স্ট্রেস নামেও পরিচিত, লোকেদের তাদের কাজের দক্ষতা এবং মোকাবেলা করার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। নেতিবাচক চাপ বলতে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ কারণের দ্বারা সৃষ্ট নেতিবাচক আবেগকে বোঝায়, যেমন উদ্বেগ, বিষণ্নতা ইত্যাদি। দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক চাপ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিভিন্ন ব্যক্তির মানসিক চাপ মোকাবেলার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। কিছু লোক চাপের সাথে মোকাবিলা করার জন্য একটি ইতিবাচক মানসিকতা অবলম্বন করতে পারে, যেমন সমর্থন এবং সাহায্য চাওয়া, শিথিলকরণ কৌশল শেখা এবং কর্ম-জীবনের ভারসাম্য সামঞ্জস্য করা। অন্যরা নেতিবাচক মোকাবিলা করার পদ্ধতি বেছে নিতে পারে, যেমন গেম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হওয়া, মাদক বা অ্যালকোহলের অপব্যবহার করা ইত্যাদি।
মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমরা একটি ইতিবাচক মানসিকতা প্রতিষ্ঠা করে এবং নিজেদেরকে সুস্থ ও সুখী করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে চাপ কমাতে এবং উপশম করতে পারি।
আপনি কি শুধু একটি ছবি দিয়ে এটি পরিমাপ করতে পারেন?